গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর ভোরবেলার হামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আলজাজিরার কাছে চিকিৎসা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গতকাল ১৫ মে ছিল নাকবা বা মহাবিপর্যয় দিবস। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর সংঘটিত জাতিগত নির্মূল অভিযানের স্মরণে এই দিনটি পালন করা হয়। নাকবার ৭৭তম বার্ষিকীতেই ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় তীব্র হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-তাওবাহ মেডিক্যাল ক্লিনিকে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্লিনিকের ওপরের তলায় বোমা বিস্ফোরণে রোগীদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এই হামলায় নিহত ১৩ জনের মধ্যে শিশুও ছিল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক হামলাগুলোসহ গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ হাজারে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯১৯ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ এখনো আটকা পড়ে আছে, ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলায় গাজার অন্তত তিনটি হাসপাতালের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এই হাসপাতালগুলো হচ্ছে জাবালিয়ার আল-আওদা হাসপাতাল, খান ইউনিসের ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল এবং ইউরোপিয়ান হাসপাতাল।
স্থানীয়রা জানান, আবাসিক এলাকাতেও নির্বিচারে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে খান ইউনিসের অন্তত নয়টি বাড়িতে কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই হামলা চালানো হয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা