চীনের ছাং’এ- ৫ চন্দ্র অভিযানে সংগৃহীত ছোট সবুজ কাঁচের পুঁতি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা চাঁদের অভ্যন্তরের গঠন সম্পর্কে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। চীনা ও অস্ট্রেলিয়ান গবেষকদের যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সাধারণ ভাবে চাঁদের ভূপৃষ্ঠের আঘাতে তৈরি কাঁচের তুলনায় এই পুঁতিগুলোতে অস্বাভাবিক ভাবে উচ্চমাত্রার ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে এগুলোর উৎপত্তি চাঁদের গভীরে।
কার্টিনের স্কুল অফ আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্সের বিজ্ঞানী আলেক জান্ডার নেমচিন বলেন, এই উচ্চ-ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত কাঁচের পুঁতিগুলো সম্ভবত চাঁদের গভীর আবরণের পাথর খন্ডের সাথে সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে। এটি অত্যন্ত চমকপ্রদ, কারণ এর আগে আমরা সরাসরি চাঁদের আবরণের কোনো নমুনা দেখিনি। এই ক্ষুদ্র কাঁচের পুঁতিগুলো আমাদের চাঁদের লুকানো অভ্যন্তরের একটি ঝলক দেখাচ্ছে।
সায়েন্স অ্যাড ভান্সেস জার্নালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণা পত্রের সহ-লেখক টিম জনসন জানান, এই পুঁতির গঠন পূর্বের চন্দ্র উপকরণগুলোর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন। তাদের ধারণা, ৩ বিলিয়ন বছরেরও বেশি পুরোনো বিশাল ইমব্রিয়ামবেসিন গঠনের সময় এই পুঁতিগুলো ভূপৃষ্ঠে উঠে আসতে পারে।
ছাং’ এ ৫ অভিযানের এই আবিষ্কার চাঁদের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস এবং অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে। বিজ্ঞানীরা এখন এই অস্বাভাবিক কাঁচের পুঁতিগুলোর আরও বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে চাঁদের গভীরে কী লুকিয়ে আছে, সে সম্পর্কে আরও তথ্য জানার জন্য আগ্রহী।