চীন ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট পারস্পরিক বিনিময়ের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপ চীন-ইউরোপ সম্পর্কের টেকসই, সুস্থ এবং স্থিতিশীল উন্নয়নে নতুন গতি এনে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ডিপ্লোম্যাটিক ওয়ার্ল্ড-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আলবার্তো টার্কস্ট্রা এই সিদ্ধান্তের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘এটা শুধু কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির দিক থেকেই নয়, রাজনৈতিক আস্থা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।‘
টার্কস্ট্রা মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক নীতির জেরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন ও স্থিতিশীল অংশীদার খুঁজতে বাধ্য হয়েছে, এবং সেই প্রেক্ষাপটে চীনই হয়ে উঠেছে তাদের সেরা পছন্দ।
তিনি বলেন, ‘অনেক ইউরোপীয় কোম্পানি চীনকে গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দেখে। আমি যাদের সঙ্গেই কথা বলি, সবাই চীনা বাজারে প্রবেশ করতে আগ্রহী। এই শুল্ক যুদ্ধ ইউরোপ ও চীনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা দ্রুততর করেছে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য সুরক্ষা ও একতরফা শুল্কনীতির প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতিমালাকে স্থিতিশীল রাখা, বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে রক্ষা করা এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ বাণিজ্য নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চীন ও ইউরোপের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: সিএমজি