সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল, লাকসাম : কুমিল্লার লাকসামে শুক্রবার (২৫ জুলাই) পুলিশ ঝোপের ভিতর থেকে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছেন। নিহত ওই যুবকের নাম হায়াতুন নবী (৩০)। তিনি উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বড়বাম গ্রামের উত্তরপাড়া মাস্টার বাড়ির মৃত মুসলিম মিয়ার ছেলে।
লাকসাম থানা পুলিশ উদ্ধারকৃত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন সকালে স্থানীয় লোকজন বড়বাম গ্রামের ঝোপের ভিতর একটি মরদেহ দেখে প্রথমে আজগরা ইউনিয়ন পরিষদে এবং পরে লাকসাম থানা পুলিশকে সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
আজগরা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ওইদিন (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশসহ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা আগেরদিন বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ওই যুবককে নির্মমভাবে হত্যা করে ঝোপের ভিতর ফেলে রেখেছে। নিহত ওই যুবকের একটি চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, হায়াতুন নবী নামে নিহত ওই যুবক এলাকায় সবার কাছে অত্যন্ত পরিচিতজন ছিলেন। তাঁকে হত্যার ঘটনায় পরিবার, আত্মীয়স্বজনসহ এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে হত্যার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো কিছু জানা যায়নি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, উদ্ধারকৃত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড। এই ঘটনায় লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সঠিক রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করছে।
তিনি বলেন, আশা করছি তদন্ত সাপেক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।