মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর : দিনাজপুর বোচাগঞ্জের কোদালকাটি গ্রামের মোছাঃ মুস্তাহিনা (১৪) গত ২৭ মে ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। আজ তার নিথর দেহ পড়ে আছে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এতদিন সে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে জীবন প্রদীপ আজ নিভে গেল।
শিশুটির পিতা মোঃ মাজাহারুল ইসলাম (৪২), পিতা-মৃত আব্দুল জব্বার বলেন, ২৭ মে ২০২৫ তারিখে অনুমান রাত ১১.৪০ ঘটিকার সময় পূর্বের ন্যায় পাশের বাড়ির দাদা মোঃ মোসলেম উদ্দিন (৫৮) মায়ের ঘরে প্রবেশ করে এবং পূর্বের ন্যায় আমার মেয়েকে তার শয়ন ঘরের বাহিরে চালির নিচে লইয়া গিয়া ইচছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। বিষয়টি সাক্ষী ১/ মোঃ সাজেদুর রহমান সাজু (৩৫), পিতা-মোঃ আব্দুস সালাম, ২/ বদিউজ্জামান (৪২), পিতা-তৈয়ব আলী, উভয় সাং-কোদালকাটি, থানা-বোচাগঞ্জ, জেলা-দিনাজপুর সহ আরো অনেক লোকজন জানা জানি হলে আমার মেয়ে মনের দুঃখে ২১ জুন ২০২৫ তারিখে বিষ পান করলে তাকে বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। সেখানে আমার মেয়েকে চিকিৎসা করায় আমার মেয়ে কিছুটা সুস্থ্য হইলে আমি তার কাছ থেকে বিষ খাওয়ার কারন জানতে চাইলে সে জানায় যে, মো মোসলেম উদ্দিন প্রায় ০১ বছর যাবৎ আমার মায়ের বাড়িতে যায় এবং আমার মায়ের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মায়ের ঘরের দরজা কৌশলে খুলে আমার মেয়ে মোছাঃ মুস্তাহিনা (১৪)কে টাকা সহ চকলেট, বড়া, মিস্টি এর লোভ এবং বিভিন্ন প্রকারের ভয়ভীতি দেখায় ঘর হইতে বের করে তার শয়ন ঘরের বাহিরে চালির নিচে নিয়ে বেশ কয়েকবার আমার মেয়েকে নির্যাতন ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
পরে তার অবস্থার অবনতি হলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জুন সন্ধ্যায় ভর্তি করা হয়। এখানে তার নিয়মিত তার চিকিৎসা চলছিল। আজকে সে মারা যায়।
বোচাগঞ্জ থানার ওসির কাছ থেকে জানা যায় আসামী মোঃ মোসলেম উদ্দিন (৫৮), পিতা-মৃত মোহাম্মদ আলী, মাতা-মৃত খইমুনি, সাং-কোদালকাটি, থানা-বোচাগঞ্জ, জেলা-দিনাজপুর এর বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করায় যার এজাহার নাম্বার বোচাগঞ্জ মামলা তাং ७०/०७/२०२৫. ধারা-৯(১) ও শিশু দমন আইন ২০০০ রুজু করা হইলে ৩০/০৬/২০২৫ তাকে গেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। বর্তমানে সে দিনাজপুর জেলখানায় রয়েছে। আদালতে মামলা চলমান।