Site icon আজকের কাগজ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল এবং প্রকৃতমুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভূক্তি সময়ের অনিবার্য দাবি

মাও. আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ব্যবসা করেছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভূক্তি সময়ের অনিবার্য দাবি। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যারা ব্যবসা করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে অমুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান করেছে, এমনকি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও ভুয়া ছিলেন। কাজেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারদের সনদ বাতিল এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভূক্তি করে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করতে হবে।

আজ সোমবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, জিএম কিবরিয়া, মাস্টার আব্দুল হামিদ, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, ফ্যাসিবাদের বিদায় করে নতুনভাবে ফ্যাসিবাদ তৈরির সকল পথ বন্ধ করতে হবে। নতুনভাবে যেন ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয় এ জন্য রাজনীতিতে গুণগত ও আদর্শিক পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রয়োজন পিআর পদ্ধতির নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তণ। সেইসাথে স্থানীয় নির্বাচন প্রথমে দিয়ে ইসির সক্ষমতাও যাচাই প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, নির্বাচন নির্বাচন বলে যারা জিগির তুলছে, তারা ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ জন্য তারা সংস্কার চায় না। তারা গণহত্যারও বিচার চায় না। গণহত্যার বিচারবিহীন কোন নির্বাচন হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, ৫৪ বছর পর একটি সুযোগ এসেছে, ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য জাতির সামনে তুলে ধরার। আগামীর বাংলা হবে ইসলামের বাংলা। ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা জনগণের। দেশবাসী ৩টি দলের শাসন দেখেছে, এবার তারা ইসলামকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।

Exit mobile version