Site icon আজকের কাগজ

দক্ষিণ ইউরোপ জুড়ে ভয়াবহ তাপদাহ: ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা, সতর্কতা জারি স্পেনে

ভয়াবহ তাপদাহ

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভয়াবহ তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলো। ইতালি, গ্রিস, ফ্রান্স, স্পেন এবং পর্তুগালে প্রতিদিনই বাড়ছে গরমের তীব্রতা, যা জনজীবনে চরম দুর্ভোগ ডেকে এনেছে।

রোববার স্পেনের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দেশটির সেভিল শহরে তাপমাত্রা বেড়ে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জারি করা হয়েছে তাপদাহ সতর্কতা। দক্ষিণ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতেও স্বাস্থ্য ও ফায়ার সার্ভিস বিভাগ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

গরমের তীব্রতা বৃদ্ধির পেছনে বিশেষভাবে দায়ী করা হচ্ছে উত্তর আফ্রিকা থেকে আসা গরম বাতাসকে। এই বাতাস বলকান অঞ্চল হয়ে ক্রোয়েশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছরই জুলাই ও আগস্টের শুরুতে ইউরোপে তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকে। ফলে এই সময়ে জনগণকে আগাম সতর্ক থাকতে বলা হয়। এবছরও ব্যতিক্রম হয়নি।

স্পেন সরকার জানিয়েছে, গরমজনিত অসুস্থতা এড়াতে বিশেষভাবে শিশু, বয়স্ক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হিটস্ট্রোকের মতো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি সেবা কার্যক্রম।

মাদ্রিদের ২২ বছর বয়সী বাসিন্দা মারিনা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমি এমন পরিস্থিতি আর কখনও দেখিনি। এ বছর গরমের কারণে বাইরে বের হওয়া একেবারে কষ্টকর হয়ে উঠেছে।’’

মেক্সিকো থেকে আসা এক পর্যটক আলেকজান্দ্রা বলেন, ‘‘অতিরিক্ত আর্দ্রতা আর বাতাস না থাকায় প্রচুর ঘাম হচ্ছে, এতে শরীর খারাপ লাগছে।’’

ফ্রান্সও এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলের জন্য ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা স্তর।

ইংল্যান্ডেও গরম বেড়েই চলেছে। দেশটির সরকার ‘ইয়েলো’ এবং ‘অ্যাম্বার অ্যালার্ট’ জারি করেছে। গত সোমবার লন্ডনের তাপমাত্রা পৌঁছায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা বছরের অন্যতম সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তীব্র গরমের কারণে গ্রিসসহ ইউরোপের কয়েকটি অঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। পুড়ে গেছে এসেন্সের কাছে অবস্থিত উপকূলীয় শহরের বেশ কিছু ঘরবাড়ি। স্থানীয় দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Exit mobile version