সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবীতে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি ময়দানে আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই’র
সভাপতির ভাষণ
(২৮ জুন’২৫ইং, শনিবার, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)
নাহমাদুহু ওয়ানু সল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম, আম্মাবাদ।
সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে এবং দেশ ও ইসলামবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আজকের এই মহাসমাবেশে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, উলামায়ে কেরাম, সাংবাদিক বন্ধুগণ, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি ও প্রিয় দেশবাসী; সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানে জীবনউৎসর্গকারী বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করছি। তাদের শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
১৮৫৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৪৭ ও ১৯৭১ এর সকল যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মাান প্রদর্শন করছি।
ভাইয়েরা আমার!
দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য এ দেশের মানুষ শত শত বছর ধরে আত্মত্যাগ করে যাচ্ছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য রক্তের নজরানা পেশ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪-এর জুলাই-আগস্টেও আরেকটি গণঅভ্যূত্থান হয়েছে।
আমাদের অতীতের আত্মত্যাগ বিফলে গেছে ভুল নীতি এবং অসুস্থ রাজনীতির কারণে। সুতরাং জুলাই অভ্যুত্থানকেও আমরা অতীতের মতো ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা আমাদের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে। আহতরা এখনো ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে।
তাই প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার এখনই করতে হবে। পতিত স্বৈরতন্ত্রের সাথে জড়িতদের বিচার করতে হবে।
আরেকটা কথা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করার কোন বিকল্প নাই। আজকের এই জনসমুদ্র পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষের জনসমুদ্র।
সংগ্রামী দেশবাসী!
১৯৭২ সালে রচিত সংবিধান ছিলো দেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস ও গণআকাংঙ্খা বিরোধী। সেই সংবিধান রচয়িতাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করার ম্যান্ডেটই ছিলো না। তারা ভিনদেশের সংবিধান অনুসরণ করেছিলেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। কোনক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সমৃদ্ধি ও উন্নতি হয় নাই। রাজনৈতিক সংস্কৃতি কলুষিত হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো, সংবিধান মেনেই স্বৈরাচার তৈরি হয়েছে।
এ জন্যই আমরা সংস্কারের প্রশ্নে অটল-অবিচল ও আপোষহীন অবস্থান নিয়েছি।
ভাইয়েরা আমার!
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান লক্ষ ছিলো দেশকে স্বৈরাচারের হাত থেকে রক্ষা করা। ৫৪ বছরের জমা হওয়া জঞ্জাল দুর করা। অভ্যুত্থানের পরে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা মতামত দিয়েছি। এখন সংস্কার নিয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনা চলছে। আমরা লক্ষ করছি, মৌলিক সংস্কারে কেউ কেউ গড়িমসি করছেন।
এটা জুলাইয়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। স্বৈরাচার তৈরীর রাস্তা খোলা রাখা যাবে না। সংস্কার না করেই নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে আবারো আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যাবে না।
রাষ্ট্রের মূলনীতিসহ সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মতো বিষয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
ভাইয়েরা আমার!
পতিত ফ্যাসিস্ট জুলুমের রাষ্ট্র তৈরি করেছিলো। হাজার হাজার মানুষকে গুম ও খুন করেছে। বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা দেশ থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে। লাখো মানুষকে কারাবন্দি করেছে । চাঁদাবাজী করে মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করেছে। আর ২৪ এর জুলাইয়ে তো প্রকাশ্যে গণহত্যা করেছে।
ফলে তাদের কোন ক্ষমা নাই। যারা সরাসরি ফৌজদারী অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো, তাদের বিচার করতে হবে। যারা অপরাধে সহায়তা করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে।
বিচারের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হলেও পতিত সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপি এবং নেতারা এখনো জেলের বাইরে। অনেকেই দেশের বাইরে থেকে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। আজকের এই মহাসমাবেশ থেকে ঘোষণা করছি, অবিলম্বে ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় আনতেই হবে।
আরেকটা কথা বলি, সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে অতীতের মতোই বাতাসে নানারকম কথা ভাসছে। আমরা আমাদের চোখ কান খোলা রেখেছি। যোগ্যদের বাদ দিয়ে যদি তথাকথিত ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদদের’ নিয়োগ দেয়া হয়, তা কারো জন্যই সুখকর হবে না।
প্রিয় দেশবাসী!
দেশের সকল মানুষের ভোটের দাম সমান। কারো ভোট যাতে অবমূল্যায়ন না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তাই আগামী নির্বাচনে সংসদের উভয়কক্ষে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সংসদে তাদের সেই অনুপাতে আসন থাকবে। এই পদ্ধতিতে রাষ্ট্র পরিচালনায় সকলের মতের প্রতিফলন ঘটবে। কোন দল জালেম হওয়ার সুযোগ পাবে না। এটা জেনজি’র দাবী। এটা এখন জনগণের দাবী। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের দাবী। সকল ধর্মের মানুষেরও দাবী।
আজকের এই মঞ্চ এটা আবারো প্রমাণ করেছে।
ভাইয়েরা আমার!
আমরা বারবার রক্ত দিয়েছি, কিন্তু সফলতা পাই নাই। কারণ, আমরা প্রতিবারই নেতা ও নীতি বাছাই করতে ভুল করেছি। আমরা ৫৪ বছরে অনেক দলকে দেশ শাসন করতে দেখেছি। কিন্তু ইসলামকে এখনো ক্ষমতায় নিতে পারি নাই। এবার ইসলামপন্থীদের ঐক্যের ব্যাপারে গণপ্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
আমি শুরু থেকেই ইসলামপন্থী সকল ভোট একবাক্সে আনার কথা বলে আসছি। আগামী নির্বাচনে শুধু ইসলামী দলই নয়, বরং দেশপ্রেমিক আরো অনেক রাজনৈতিক দলও একবাক্স নীতিতে আসতে পারে, ইনশাআল্লাহ। যদি আমরা একত্রে নির্বাচন করতে পারি, যদি কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরাই হবে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের হাতেই আসবে ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় দেশবাসী!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের ফসল। এতো জনসমর্থন নিয়ে আর কোন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে নাই। আমরা নিঃস্বার্থভাবে এই সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি।
সরকারকে বলবোÑ সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের যে অঙ্গীকার নিয়ে আপনারা দায়িত্ব নিয়েছেন, সেই দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকুন। কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবেন না। নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করুন। আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় ভাইয়েরা আমার!
আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক চরিত্র, চাঁদাবাজীর ক্ষেত্রে অবস্থার এখনো কোন পরিবর্তন হয় নাই। একটি দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। কারো নাম ধরে সমালোচনা করতে চাই না। তবে পুরোনো রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি জিইয়ে রাখার চেষ্টা সহ্য করা হবে না। রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজীকে অবশ্যই প্রতিহত করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
ভাইয়েরা আমার!
আমাদের প্রধান লক্ষ হবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং গণমানুষের জীবনমান উন্নত করা। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ দেশ গড়ে তোলা। মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
আমরা একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই।
কৃষক ও শ্রমিক ভাইদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই!
অতীতে কেউ আপনাদের স্বার্থ রক্ষা করে নাই। আপনাদের শ্রম ও ঘামের প্রকৃত মূল্য কেউ দেয় নাই। ইসলামী শক্তি ক্ষমতায় এলে আপনাদের স্বার্থ নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
ব্যবসায়ী ভাইয়েরা!
আপনাদেরকে পদে পদে চাঁদা দিতে হয়। প্রশাসনিক হয়রানীর শিকার হতে হয়। বিদ্যুত ও জ্বালানী নিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ঋণ পাওয়া নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হতে হয়। ইনশাআল্লাহ, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আগামীর বাংলাদেশ হবে ব্যবসা-বান্ধব বাংলাদেশ।
জেন-জি তরুণদেরকে বলি!
তোমরা আমাদের ভবিষ্যত। তোমাদের সম্ভাবনা বিকাশের জন্য আমরা ওয়াদাবদ্ধ।
আমি আমার প্রিয় তরুণ-যুবকদের আশ্বস্ত করতে চাই, আগামীর বাংলাদেশে তোমরাই হবে মূল শক্তি । ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার ব্যবস্থা করবে ইনশাআল্লাহ। তোমাদের জীবনের প্রথম ভোট হোক সত্যের পক্ষে, কল্যাণের পক্ষে, ইসলামের বাক্সে। যদি তোমরা এটা করতে পারো, এ দেশকে আমরা গড়ে তুলবোই ইনশাআল্লাহ। আমাদেরকে কেউ দমাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। আমরা কথা দিচ্ছি, আমাদেরকে দায়িত্ব দিলে দুর্নীতি ও দুঃশাসনমুক্ত একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তোমাদের উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।
প্রবাসী ভাইদের উদ্দেশে বলতে চাই!
আপনারা এদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান শক্তি। আপনারা আমাদের প্রেরণা। আপনারা ভিআইপি।
আপনাদের উপযুক্ত সম্মান এবং ন্যায্য চাওয়া-পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য যা যা করার দরকার, আমরা তাই করবো ইনশাআল্লাহ।
সন্মানিত উলামায়ে কেরাম!
আপনারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। অথচ অনেক ক্ষেত্রেই আপনারা অবহেলিত এবং রাষ্ট্রের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আগামী নির্বাচনে আমরা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে উলামায়ে কেরামের প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় দেশবাসী!
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক চায়।
সহযোগীতামূলক সম্পর্ক চায়। নিরাপদ সম্পর্ক চায়। তবে কোনো আগ্রাসী মনোভাব, অবৈধ হস্তক্ষেপ বা চোখরাঙানি প্রত্যাশা করে না।
বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং মুসলমান, সকলে মিলেই আমরা বাংলাদেশি। এই দেশ আমাদের সকলের। ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সকলের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ ও মর্যাদা প্রদান করা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
আমার মা-বোনদের উদ্দেশে বলতে চাই!
নারীরা আমাদের জনশক্তির অর্ধেক। দেশগঠনে নারীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারীর স্বাধীনতা, সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। আমরা নারীর প্রতি কোন প্রকার সহিংসতা বরদাশত করবো না। নারীকে পণ্য বানাতে দেব না। নারীর প্রকৃত মর্যাদা সমুন্নত করাই আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
ভাইয়েরা আমার!
এ মহাসমাবেশ থেকে আমরা ফিলিস্তিনি জনতার প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছি। প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের মুক্তিসহ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সব মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংগ্রামী ভাইয়েরা আমার!
আমরা রাষ্ট্রে সুশাসন চাই। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে রাষ্ট্রপ্রধানও জনতার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। আমরা ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা দক্ষ ও সৎ জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে চাই।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করে নাই। শর্টকাট পথে ক্ষমতায় যেতে চায় নাই। নীতি বিসর্জন দেয় নাই।
সবকিছুর উর্ধে আমরা ইসলাম, দেশ ও জনগণের স্বার্থকে প্রধান্য দিয়েছি। আগামীতেও আমরা জনপ্রত্যাশাকে পূরণ করতে চাই।
প্রিয় নেতাকর্মীবৃন্দ!
আপনারা অনেক ঘাম ঝরিয়েছেন, অনেক সময় দিয়েছেন। অনেকে রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। আপনাদের কুরবানীর বদৌলতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ গণমানুষের শক্তিশালী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এখন সময় ফসল ঘরে তোলার।
সুতরাং মহাসমাবেশ থেকে ফিরে গিয়েই কমিটিগুলোকে আরো সক্রিয় করুন। গ্রাম-মহল্লা ও ভোট কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করুন। সকল ভোটারের কাছে গিয়ে দাওয়াত দিন।
তাদের সামনে ইসলামের সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরুন। সকল ধর্ম, মত-পথ ও মাসলাকের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করুন। সকল পেশাজীবিদের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ট করুন।
প্রিয় দেশবাসী!
আগামীর বাংলাদেশ-ইসলামের বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশ দেশপ্রেমিকদের বাংলাদেশ। এই লক্ষ অর্জনে সকলকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করার আহবান জানাচ্ছি।
আসুন সকলে মিলে আমাদের স্বপ্ন পূরণে একযোগে কাজ করি।
আজকের মহাসমাবেশে আসার জন্য সবাইকে আবারো ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সকল নেতা-কর্মীকে শুকরিয়া জানাচ্ছি। আপনারা যে পরিশ্রম করেছেন তার প্রতিদান একমাত্র আল্লাহই প্রদান করবেন ইনশাআল্লাহ। সারাদেশ থেকে যারা এসেছেন, সহযোগিতা করেছেন, প্রচার করেছেন, বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছেন তাদের সবার জন্য অন্তর থেকে বলছি, জাঝাকুমুল্লাহু খয়রান।
আল্লাহই আপনাদের প্রতিদান দিবেন। প্রশাসনের ভাইদের শুকরিয়া জানাই। সাংবাদিক বন্ধুদের শুকরিয়া জানাই। আরো যারা যেভাবে সহায়তা করেছেন তাদের সবার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
আল্লাহ হাফেজ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
নাসরুম মিনাল্লহি ওয়া ফাতহুন করীব।