Site icon আজকের কাগজ

ইডেন মহিলা কলেজে অপরাজেয় ক্লাবের আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন

ইডেন মহিলা কলেজে অপরাজেয় ক্লাবের আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন

জোলেখা আক্তার জিনিয়া, ইডেন মহিলা কলেজ : ১৪ মে ২০২৪, বুধবার— বাংলা সাহিত্যের দুই দীপ্তিমান পুরুষ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এক অনাড়ম্বর, মননশীল এবং গভীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করলো এডেন মহিলা কলেজের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অপরাজেয়’।

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের চর্চায় ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাওয়া ‘অপরাজেয়’-এর এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে, চেতনায় এবং সৃজনশীলতায় নতুন মাত্রা যুক্ত করে। কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিপ্রেমী দর্শকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত ও অর্থবহ।

আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল আলোচনা পর্ব, যেখানে রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক নাভিন মুর্শেদ রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য, দার্শনিকতা ও তাঁর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি বক্তব্য দেন অপরাজেয় ক্লাবের উপদেষ্টা নওশিন মুশতারিন সাথী, যিনি দুই কবির সাহিত্যে মানবিকতা, সাম্য এবং প্রতিরোধের চেতনার পাঠ তুলে ধরেন। তাঁদের আলোচনায় ফুটে ওঠে রবীন্দ্র-নজরুলের জীবনদর্শন, যা আজও তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনাগুলিও ছিল যথেষ্ট মনোমুগ্ধকর। ‘অপরাজেয়’-এর সদস্যরা আবৃত্তি, সংগীত এবং নাট্যাংশের মাধ্যমে কবিগণের সাহিত্যকে জীবন্ত করে তোলেন। বাংলা কবিতা ও গানের নান্দনিক ছন্দে মুখর হয়ে ওঠে এডেন মহিলা কলেজের প্রাঙ্গণ। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো—কেউ কবিতায়, কেউ গানে, আবার কেউ নাট্যে ফুটিয়ে তোলেন দুই কবির চেতনার স্বরূপ।

এই আয়োজন শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি ছিল সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার এক সজীব উদযাপন। তরুণদের সৃজনশীলতায় ভরপুর এই আয়োজন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে সাহিত্যভাবনার বীজ বুনে দেয়।

কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানানো হয় এবং ভবিষ্যতে এমন আয়োজন আরও নিয়মিতভাবে আয়োজন করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

‘অপরাজেয়’ প্রমাণ করেছে যে, আজকের তরুণ প্রজন্ম এখনো সাহিত্যের আলোয় আলোকিত হতে চায়—তারা রবীন্দ্রনাথের সূক্ষ্ম দার্শনিকতায়, এবং নজরুলের জ্বলন্ত প্রতিবাদে নিজেদের খুঁজে পেতে চায়। এমন উদ্যোগ নতুনদের মনে জাগিয়ে তোলে চেতনা, বোধ এবং সংস্কৃতিমনা এক মানবিক সমাজের স্বপ্ন।

Exit mobile version