জম্মু, ভারত: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ ড্রোন হামলায় কেঁপে উঠেছে জম্মু শহর। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে একাধিক জোরালো বিস্ফোরণের শব্দে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, মুহূর্তের মধ্যেই সাইরেন বেজে ওঠে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে শহরের মোবাইল পরিষেবাও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।
চাক্ষুষ দৃশ্য ও আতঙ্ক: স্থানীয় বাসিন্দাদের পাঠানো ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আকাশে আলোর ঝলকানি আর তীব্র শব্দ। শহরের মানুষজন আতঙ্কে ঘর থেকে বের হয়ে আসে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে শহরে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের তরফ থেকে সবাইকে ঘরে অবস্থান করতে এবং জরুরি প্রয়োজনে বের হতে বলা হয়েছে।
প্রসারিত এলাকা: শুধু জম্মু শহরেই নয়, প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুপওয়ারা এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটেও অনুরূপ বিস্ফোরণ ও সতর্কতা দেখা গেছে। বিশেষ সতর্কতার কারণে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করেছে এবং জনগণকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তানের অস্বীকার: ঘটনাটির পরপরই আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এ হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এ ধরনের কোনো আক্রমণ পরিচালনা করা হয়নি। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
নিরাপত্তা সতর্কতা: এই হামলার পর ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন এবং ড্রোন শনাক্তকরণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং প্রতিটি প্রবেশপথে কড়া নিরাপত্তা বসানো হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ: ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলার উৎস ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।