Site icon আজকের কাগজ

জৈব প্রযুক্তিতে প্রাণ ফিরে পেল চীনের প্রাচীন গ্রামের মাটি

জৈব প্রযুক্তিতে

চীনের চিয়াংসি প্রদেশের চিয়ান শহরের পাহাড়ি গ্রাম তিয়াওইউয়ান আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। প্রায় এগারশ বছরের পুরনো এই গ্রামের মাটিতে জৈব পদার্থের ঘাটতিতে প্রাচীন কর্পূর গাছগুলো বিলুপ্তির মুখে পড়েছিল। তবে মাটি পুনরুদ্ধারে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে চিত্রটা পাল্টে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের অধ্যাপক কাসেম সয়তং।

চার বছর আগে স্থানীয় প্রশাসন ও আলোর ভ্যালি নামে একটি হসপিটালিটি ব্র্যান্ড যৌথভাবে দায়িত্ব নেয় তিয়াওইউয়ান গ্রাম পুনর্জাগরণের। শুধু প্রাচীন স্থাপত্য রক্ষা নয়, বরং পরিবেশগত পুনরুদ্ধারকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। তখনই যুক্ত হন কৃষিবৈচিত্র্য গবেষণায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক সয়তং।

দীর্ঘদিনের রাসায়নিক সার ব্যবহারে মাটি হয়ে পড়েছিল অ্যাসিডিক ও বিষাক্ত। সমাধান হিসেবে সয়তং ব্যবহার করেন স্থানীয় আবর্জনা—খড়, গাছের শুকনো পাতা ও রান্নাঘরের বর্জ্য—যা দিয়ে মাইক্রোবায়াল প্রযুক্তিতে তৈরি হয় জৈব সার। যদিও শুরুতে সন্দিহান ছিলেন স্থানীয়রা, ফলাফল দেখে পরে তারা এখন আশ্বস্ত।

এখন ৩৩ হেক্টর জমিতে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ হচ্ছে। আরও ৩৩ হেক্টরের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে শুধু কর্পূর গাছই নয়, জমিতে ফিরেছে মাছ, হাঁস, ব্যাঙসহ প্রাণবৈচিত্র্য। ২০২৪ সালে তিয়াওইউয়ান ‘সবুজ ইকো-রিসোর্ট গ্রাম’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে সাউথইস্ট এশিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাগ্রিকালচারাল টেকনোলজি থেকে।

গ্রামবাসী লি চি জানান, ‘জৈব সবজির স্বাদ ও রং ছিল অসাধারণ।’ অন্যদিকে ৫০ হাজার কেজি জৈব চাল প্রতি কেজি ৪৪ ইউয়ান দরে বিক্রি হয়েছে, যা আগের চেয়ে ৭ গুণ বেশি!

এ বছর সেখানে স্থাপন করা হবে বৃহৎ জৈব কম্পোস্ট কারখানা, যা চীন-থাইল্যান্ড কৃষি প্রযুক্তি বিনিময়ে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক সয়তং।

সূত্র: সিএমজি

Exit mobile version