Site icon আজকের কাগজ

চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধার প্রশংসা করেছে আফ্রিকা

সম্প্রতি স্বল্পোন্নত যে দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তাদের জন্য ১০০ শতাংশ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে চীন। বৃহৎ উন্নয়নশীল ও প্রধান অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীনই প্রথম এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা পূরণে সহায়ক এবং বিশ্বজুড়ে উন্নয়নের সুযোগ ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরছে।

জিম্বাবুয়ের শাসক দল জানু-পিএফ-এর তথ্য ও প্রচার সচিব ক্রিস্টোফার মুৎসাভাংগাওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘চীন তার বাজার আরও উন্মুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং এই পদক্ষেপ চীন-আফ্রিকা বাণিজ্যকে উৎসাহিত করবে।’

চীনা ভোক্তাদের মধ্যে আফ্রিকান কৃষি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। জিম্বাবুয়ের কমলা এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য চীনের বাজারে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে আফ্রিকার তিলসহ আরও কৃষিপণ্য চীনের বাজারে স্থান পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ক্রিস্টোফার।

মাদাগাস্কারের কৃষি, বস্ত্র, সামুদ্রিক খাদ্য এবং হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন পণ্য চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ রাবেনজা ক্লাউডিও।

শুল্কমুক্ত সুবিধার পাশাপাশি, আফ্রিকার বাণিজ্য উন্নয়নে সহায়ক অন্যান্য পদক্ষেপও নিচ্ছে চীন। বাণিজ্য চুক্তি সহজ করা, আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্সে সহায়তা এবং আফ্রিকান প্রদর্শকদের চীনে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ আরও কিছু বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চায়না-আফ্রিকা ইনস্টিটিউটের গবেষক ইয়াং বাওরং।

গত মাসে অনুষ্ঠিত ৭ম চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপোতে, চীন ৩৭টি স্বল্পোন্নত দেশের প্রদর্শকদের জন্য ১২০টিরও বেশি ফ্রি বুথ বরাদ্দ করে। এই প্রদর্শনীতে আফ্রিকার বিশেষ কৃষি পণ্য প্রদর্শনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

তানজানিয়ার মৌমাছির উৎপাদিত পণ্য প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ফিউচার এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেডের নানা পণ্য চীনের বাজারে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান জ্যাকসন এমপোনেলা বলেন, ‘এই প্রদর্শনী তানজানিয়ার মধুকে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

এ বছর মাদাগাস্কারের ছাগলের মাংসও প্রথমবারের মতো প্রদর্শনীতে জায়গা করে নেয়। মাদাগাস্কারের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মিশেল আনন্দ্রাকা বলেন, ‘চীনের বিশাল বাজার স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে এবং আফ্রিকান দেশের কৃষির আধুনিকায়নকে ত্বরান্বিত করবে।’

সূত্র: সিএমজি

Exit mobile version