লাউতারো মার্টিনেজকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড স্ট্রাইকার বললেও ভুল হবে না, দলের জন্য সব সময় অবদান রেখে চলা একজন সৈনিক, কিন্তু মিডিয়ার নজর সেভাবে কখনোই কাড়তে পারেনি লাউতারো।
যার কারণে দিনের পর দিন পারফরম্যান্স করেও থেকে গেছেন আড়ালে, গত মৌসুমে ইন্টারকে নিয়ে ইতালিয়ান কাপ এবং সিরিএ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন, আবার জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জয় করেছিলেন, হয়েছিলেন কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতা।
কিন্তু তারপরও ব্যালন ডি’অর এর শিষ্য পাঁচে তার জায়গা হয়নি, ইন্টার মিলনের খেলোয়াড় না হয়ে যদি ইংলিশ লীগ অথবা রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হতেন তাহলে নিশ্চয়ই তিনি ব্যালন ডি’অরের শিষ্য পাঁচে থাকতেন।
দলের প্রয়োজনে সব সময় লাউতারো মাটিনেজ একজন ভরসার নাম, কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার সাথে যখন আর্জেন্টিনা কোন ভাবেই গোল করতে পারছিল না, ঠিক তখন ম্যাচের ১১৭ মিনিটের সময় আর্জেন্টিনার হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন মার্টিনেজ, কিন্তু পারফরম্যান্স করেও সব সময় থেকে যান আড়ালে।
এবারও ইন্টার মিলান এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এতদূর আসার পিছনে সর্বোচ্চ অবদান এই স্ট্রাইকারের, আবার ইতালিয়ান সিরিএ তেও শীর্ষস্থানে আছে মার্টিনেজর ক্লাব ইন্টার মিলান।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত দলের হয়ে সর্বোচ্চ নয় গোল করেছেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার, ইতালিয়ান লীগেও দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা লাউতারো, কিন্তু এবারও তাকে নিয়ে তেমন একটা আলোচনা হচ্ছে না।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বায়ার্ন মিউনিখের সাথে দুই লেগেই গোল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, দ্বিতীয় লেগের গোলের সাথে ইন্টার মিলানের হয়ে ১৫০ গোল করার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।
ইউরোপের বাহিরের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে লাউতারো ইন্টার মিলনের হয়ে ১৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন।
সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান কেমন করবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে মার্টিনেজের ফর্ম এর উপর।
এক মৌসুম আগেও ইন্টারমিলনকে নিয়ে মার্টিনেজ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে ম্যানচেস্টার সিটি সাথে ১-০ গোলে হেরে পরাজয় বরণ করতে হয়।
এবার যদি মার্টিনেজ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারে তাহলে ব্যালন ডি’অর পাওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।