আজকের কাগজ

‘প্রথম স্বামীর মৃত্যু’ ভাইরাল খবরটি প্রসঙ্গে যা বললেন পরীমণি

২৩ নভেম্বর) থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে ‘পরীমণির প্রথম স্বামী মারা গেছেন’। ২২ নভেম্বর ভোরে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে মারা যান ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার নামের এক ব্যক্তি। ইসমাইল জমাদ্দার মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে। ইসমাইলের চাচা কবির হোসেন জমাদ্দার জানান, ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরী মণির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এই সংবাদ দেখে বিরক্ত, ক্ষুব্ধ আলোচিত নায়িকা পরীমণি। তার কথা হলো, ‘কারও মৃত্যু তো হাসি-তামাশার বিষয় নয়। ইসমাইলের মৃত্যু নিয়ে যে যেভাবে পারছেন, খবর প্রকাশ করেছেন। উৎসব উৎসব ভাব মনে হচ্ছে। এটা সত্যিই কষ্টদায়ক। এমনটা মোটেও আশা করিনি।’

ইসমাইলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা নিয়ে পুরোপুরি না জানালেও পরীমণি বললেন, ‘ইসমাইল হোসেন জনি আমাদের আত্মীয়। আমার খালাতো ভাই। আমরা একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি। বয়সে যদিও আমার চেয়ে ৫-৬ বছরের বড়, তারপরও আমাদের সম্পর্কটা ছিল খুবই চমৎকার।’

কথায় কথায় পরীমণি বলেন, ‘‘এবার বাড়িতে আসার পরই আমার মা (খালাকে মা বলে ডাকেন পরীমণি) বললেন, ‘ইসমাইল তো বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করছে।’ আমি বললাম, ‘কী!’ পরে বললেন, ‘ও তো মারা গেছে!’ এলাম নানুভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে, এসে শুনি ইসমাইলের মৃত্যুর খবর! এটা মেনে নেওয়া যে কতটা কষ্টের, বলে বোঝাতে পারব না।’’

পরীমণি আরও বলেন, ‘আমি সাধারণত মৃত মানুষের মুখ দেখতে পারি না। এই জীবনে একমাত্র নানুভাইয়ের মরা মুখটাই শুধু দেখতে পেরেছি। আর কারোটা দেখা সম্ভব হয়নি। ইসমাইলেরও দেখা সম্ভব হয়নি। কবর জিয়ারত করেছি। সেই কবরস্থানে পাশাপাশি আমাদের পরিবারেরই অনেক কবর। সবচেয়ে নতুন কবর, ইসমাইলের। ওর বাবাসহ আমরা কবর জিয়ারতে গেছি। সবকিছু ছাপিয়ে সে তো আমার আত্মীয়। তাই তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও তো সব সময়ের।’

এদিকে, ইসমাইলের চাচা কবির হোসেন জমাদ্দার বলেন, ‘ইসমাইল পরিমণির প্রথম স্বামী ছিলেন। তবে তাদের তালাকের পরে ইসমাইল আবারও বিয়ে করেছিলেন। সেই ঘরে তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে।’

Exit mobile version